হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহিল উজমা জাওয়াদী আমুলী বলেন, যে ব্যক্তি সমাজে কোনো সমস্যায় পড়েছে, সে একাকী হয়ে পড়েছে এবং মানুষের সাথে তার সম্পর্ক উন্নত করতে চায়, তার উচিত নিজের ও আল্লাহর মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর ও মজবুত করা। কারণ, মানুষের হৃদয়ের চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে।
তিনি “আল্লাহর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন” বিষয়ে একটি লেখায় উল্লেখ করেন, আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.) বলেছেন,
مَنْ أصْلح ما بینه وَبین الله، أصْلح الله سُبحانَه وتعالی ما بینه وَبین النّاس
যে ব্যক্তি নিজের ও আল্লাহর মধ্যে সম্পর্ক ঠিক করবে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তার ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক করে দেবেন।”
এই জ্ঞানগর্ভ হাদিসটি সামাজিক বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে। অর্থাৎ, মানুষের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে হলে প্রথমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সুন্দর করতে হবে। কারণ, মানুষের হৃদয়ের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতে। মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পূর্বশর্ত হলো আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন। আর এই মহান লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় হলো “চিন্তা-ভাবনা”।
আহলে বাইত (আ.) আমাদের চিন্তার পদ্ধতিও শিখিয়েছেন। তারা বলেছেন, “চিন্তা হলো এমন— যেমন কেউ কোনো ধ্বংসস্তূপ বা পরিত্যক্ত ঘর (কিংবা কবরস্থানের) সামনে দাঁড়িয়ে বলবে:
«أیْنَ ساکِنوک؟ أین بانوُکَ؟
“তোমার বাসিন্দারা কোথায়? তোমার মালিকরা কোথায়?”
এ ধরনের চিন্তা মানুষকে সচেতন করে তোলে। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। সু-রক্ষণাবেক্ষণ করা বাড়িগুলি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এবং হাত থেকে হাতে স্থানান্তরিত হয়েছে। এগুলো এখন বিরাণ ভূমি। এগুলো শুধু ধ্বংসাবশেষই নয়, বরং সবকিছুর মধ্যেই শিক্ষা রয়েছে। যেমন, ইমাম মুসা আল-কাযিম (আ.) হারুনকে বলেছিলেন, “তোমার চোখ যা কিছু দেখে, তার সবকিছুতেই একটি উপদেশ রয়েছে।”
মাত্র এক মুহূর্তের চিন্তাও মানুষকে জাগ্রত ও সতর্ক করে তুলতে পারে। আল্লাহর পথে পরিচালিত করতে পারে।
সূত্র: মাবাদিল আখলাক ফিল কুরআন, পৃষ্ঠা ২১৯-২২০
আপনার কমেন্ট